মাশরুম ও মুক্তা চাষের ব্র্যান্ডিং জেলা হতে পারে পঞ্চগড়: সারজিস আলম


দেশের বিভিন্ন জেলায় সীমিত আকারে মাশরুম ও মুক্তা চাষ হলেও বৃহৎ আকারে এখনও এই খাতের প্রসার ঘটেনি। পঞ্চগড় তার ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মাশরুম ও মুক্তা চাষের একটি ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।” —এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মীরগড় এলাকায় জেলা প্রশাসন ইকো পার্কে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘মাশরুম ও মুক্তা চাষ’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “আজ দেশের অনেক মা-বোন স্বামীর উপর নির্ভরশীল না থেকে নিজেই উপার্জনের পথ খুঁজছেন। উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। কৃষি খাতের এমন বিকল্প উদ্যোগ নারীর আর্থিক স্বাধীনতা ও স্থানীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “মাশরুম ও মুক্তা চাষ এখন আর শুধু শখ নয়, এটি হতে পারে একটি লাভজনক ও টেকসই ব্যবসায়িক মডেল। শুধু চাই সঠিক প্রশিক্ষণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।”
জেলা প্রশাসন ইকো পার্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ব্যবস্থাপনায় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রশিক্ষণার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষক ড. নজরুল ইসলাম, পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, পঞ্চগড় জজ কোর্টের পিপি আদম সুফী। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মাশরুম ও মুক্তা চাষের আধুনিক পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, মার্কেটিং কৌশল এবং সম্ভাব্য আয় নিয়ে বিশদ ধারণা দেওয়া হয়। উদ্যোক্তাদের নিজ এলাকায় চাষ শুরু করতে উৎসাহিত করা হয়।
নতুন/কাগজ/লাবলু/পঞ্চগড়
