দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারক আসন্ন নির্বাচন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচনের পর দেশের গণতন্ত্র কোন পথে এগোবে তা পুরোপুরি নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ফলাফলের ওপর।
তিনি আরও বলেন, “আমি এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এটি শুধু নির্বাচন নয়, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। গতানুগতিকভাবে নির্বাচন করা হবে না। আমাদের লক্ষ্য স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং সময়োপযোগী নির্বাচন আয়োজন করা।”
সিইসি উল্লেখ করেছেন যে, নির্বাচনকে স্বচ্ছভাবে আয়োজন করতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি এবং সর্বাত্মক মনোযোগ প্রয়োজন। তিনি সবাইকে সতর্ক করেছেন, নির্বাচনের ফলাফল দেশের গণতান্ত্রিক গতিপথ নির্ধারণ করবে, তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পরিচালনা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের এই মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক মহলে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা হচ্ছে, বিশেষ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা ছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন সম্ভব নয়। যতই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করি না কেন।
সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ছাড়া কখনো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব নয়।
১০ লাখ লোক নির্বাচনী কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। যারা জেলে আছেন এবং প্রবাসীদের জন্যও এবার অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বর আমরা পোস্টাল ব্যালটের অ্যাপ লঞ্চ করব। পোস্টাল ব্যালটে নির্বাচনি দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা ভোট দেবেন।
আপনাদের বাড়ির ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পৌঁছে যাবে।
এআই ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, এআই অপব্যবহার রোধে আমরা একটা সেল খুলেছি। সেখানে যোগাযোগ করে আপনারা যেকোনো ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে পারবেন।