ভালো ফলাফল অর্জনে শিক্ষার্থীদের ভরসা প্রাইভেট


পটুয়াখালীতে অধিকাংশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল অর্জনে প্রাইভেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। প্রাইভেট পড়া ছাড়া ভালো ফলাফল অর্জন করা যেন কোনভাবেই সম্বব নয়। ফলে তারা প্রাইভেট শিক্ষকদের কাছে ধর্না দিচ্ছে।
দশমিনা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, দশমিনায় ২০টি মাধ্যমিক ও ননএমপিও ৫টি এবং ৬টি উচ্চ মাধ্যমিক ও ননএমপিও ১টি বিদ্যালয় রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয়ের মধ্যে খুব কম বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে সন্তোষজনক লেখা-পড়া হয়। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে তেমন লেখা-পড়াও হয়না। ফলে ওই সব বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী জানুয়ারী মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১২মাস প্রাইভেট পড়ে থাকে। আর এর মধ্যে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদের ফাইনাল পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত অর্থাৎ ১২মাস সহ মোট ১৪মাস প্রাইভেট পড়তে হয়। অন্যথায় তারা পরীক্ষায় ভাল ফলা-ফল অর্জন করতে পারেনা।
একাধিক অভিভাবকের আভিযোগ, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩/৪জন করে শিক্ষক আছেন যারা উপজেলায় ভাল প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে বেশ পরিচিত। তারা বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের চেয়ে প্রাইভেট পড়াতেই বেশি আগ্রহী। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষক আবার শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফলের জন্য প্রাইভেট পড়তে উৎসাহিত করেন। ফলে অভিভাবকরা নিরুপায় হয়ে তাদের সন্তানের ভাল ফলাফলের জন্য ওই সকল শিক্ষকদের কাছে ধর্না দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন-অধিকাংশ প্রাইভেট শিক্ষক তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের আশপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে আবার কেইবা বাড়িতে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর সু-ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তারা সরকারি নিয়ম-কানুনকে উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে প্রতি ব্যাচে ১৫থেকে ২৫জন করে শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ায়ে থাকেন। বিশেষ করে অংক এবং ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষকরা শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের চেয়ে প্রাইভেট পড়াতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা একাডেমি সুপার ভাইজার মু নেছার উদ্দিন বলেন, যেই সমস্ত শিক্ষকগন প্রাইভেট পড়াচ্ছেন খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈএনকে/জে, আ
