ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চাপায় এক পুলিশ সদস্য নিহত


কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের চাপায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে দশটায় সদর উপজেলার স্বস্তিপুর এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়েক এই ঘটনা ঘটে। এসময় বাসটি জব্দ করে হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে বাসের চালক ও চালকের সহকারি পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, নিহত পুলিশ কনস্টেবল হাফিজুর রহমান(২৮) পাবনার চাটমোহর উপজেলার জাবরপোল গ্রামের কজী আহমেদের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানায় কর্মরত ছিলেন।
চৌড়হাস হাইওয়ে থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে চৌড়হাস হাইওয়ে থানার একটি টিম কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে স্বত্তিপুর এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিল। সকাল সাড়ে দশটার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতায়ন নামে ছাত্রীদের পরিবহন করা একটি বাস দ্রুত গতিতে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিল। স্বত্তিপুর এলাকায় যাবার মূহুর্তে সামনে একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে সড়কের পাশে দায়িত্বে থাকা কনস্টবেল হাফিজুরকে চাপা দেয়। তৎক্ষনাৎ পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হলে তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত পুলিশ সদস্যের দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,‘সাত মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। আগের পক্ষে তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন, বাসটি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। চালক ও চালকের সহযোগী পালিয়ে গেছে। লাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির একটি দল হাইওয়ে থানায় গিয়েছিল। আইনগত বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে একটি বৈঠক করা হবে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বাসের কাগজপত্র ঠিক আছে কি-না বা দুর্ঘটনায় চালকের কোন ত্রুটি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
