শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই শুরু বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযাত্রা

শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই শুরু বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযাত্রা
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) চতুর্থ আসরের (২০২৫–২০২৭) সূচনা হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে দিয়েই। নতুন এই চক্রের প্রথম সিরিজে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আর ভেন্যু ঐতিহাসিক গল টেস্ট গ্রাউন্ড।

১৭ জুন থেকে গলে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট, যেখানে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৫ জুন, কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।

দুই ম্যাচের এই সিরিজ শুধুই একটি দ্বিপাক্ষিক লড়াই নয়, বরং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে ভালো শুরু করার সুযোগও বটে। নতুন চক্রে প্রতিটি ম্যাচের ফলই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে।

নতুন নেতৃত্বে শান্তর বাংলাদেশের এটি হবে বড় একটি পরীক্ষা। পাশাপাশি লঙ্কানদের মাটিতে কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টেস্টে ভালো শুরু করার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) নতুন চক্র (২০২৫-২০২৭) শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের হাত ধরেই। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ জুন মাঠে নামছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়েই সূচনা হবে টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার নতুন যাত্রা।

তবে চক্রের শুরু হলেও, বাংলাদেশের জন্য এবারের যাত্রাপথ দীর্ঘ এবং চ্যালেঞ্জে ঠাসা। ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম—মাত্র ১২টি টেস্ট ম্যাচই খেলবে বাংলাদেশ, যা ছয়টি সিরিজে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে থাকবে পরবর্তী তিন বছরে। এর মধ্যে ২০২৫ সালে থাকছে শুধু এই একমাত্র সিরিজ, বাকি পাঁচটি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে।

২০২৬ সালের মার্চে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে বছর শুরু করবে বাংলাদেশ। এই পাকিস্তানকেই শেষবার ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল টাইগাররা, এবার তারা ফিরছে প্রতিশোধের মিশনে।
এরপর আগস্টে শুরু হবে কঠিনতম পরীক্ষা—অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ। ২০০৩ সালের পর এটাই হবে প্রথমবার অজিদের দেশে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
অক্টোবর মাসে ঢাকায় সফরে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যার সঙ্গে বাংলাদেশ শেষ সিরিজটি ড্র করেছিল।
নভেম্বরে সফর দক্ষিণ আফ্রিকায়—যাদের বিপক্ষে শেষ চক্রেই হেরে গিয়েছিল লাল-সবুজরা।

২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশের ডব্লিউটিসি অভিযান। ২০১৬ সালের সেই রোমাঞ্চকর সিরিজের পর এই প্রথম আবার ইংলিশদের আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। সাত বছরের সেই অপেক্ষার শেষে দেশের মাটিতে প্রতিশোধের সুযোগ পাবেন শান্তরা।

এবারও পয়েন্ট সিস্টেমে থাকছে পূর্বের নিয়ম—জয়ের জন্য ১২ পয়েন্ট, ড্রয়ে ৪ এবং টাই হলে ৬ পয়েন্ট।
২০২৭ সালের জুনে লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে বসবে এই চক্রের ফাইনাল।
তৃতীয় চক্রে (২০২৩–২০২৫) বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মাঝামাঝি পজিশনে থেকে চক্র শেষ করে। ১২ ম্যাচে ৪টি জয়ে সপ্তম স্থানে ছিল টাইগাররা, পিছনে ফেলেছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এবার সেই উন্নতির ধারা আরও এগিয়ে নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।

আশার কথা, বাংলাদেশের এই চক্রে যাদের মুখোমুখি হতে হবে, তাদের চারটির বিপক্ষেই টাইগারদের সর্বশেষ পারফরম্যান্স হারবিহীন—অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ড্র এবং পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
শুধু শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই এসেছে হার, যাদের সঙ্গে এবারের চক্রেও লড়াই অপেক্ষা করছে।

শুরুটা এবার সাহসের, ভবিষ্যত নির্ভরতা চাই ধারাবাহিকতায়
নতুন অধিনায়ক, নতুন চ্যালেঞ্জ—কিন্তু প্রশ্ন একই: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কঠিন লড়াইয়ে বাংলাদেশ কি এবার নিজেকে আরও ওপরে তুলতে পারবে?

যাত্রা শুরু গল থেকে, শেষ গন্তব্য লর্ডস? সময়ই দেবে উত্তর।
 


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ