শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • বিমানবন্দরের ‘ফ্লাইং জোনে’ মাইলস্টোন, সরানোর সুপারিশ পরিকল্পনাবিদদের নতুন সংবিধানের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি : নাহিদ ইসলাম দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, লোকালয়ে জলাবদ্ধতা বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে চাইঃ এ্যানি বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নারী-শিশুসহ ২০ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ মোহাম্মদপুরে ছিনতাই: দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে ৪ পুলিশ ক্লোজড মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩৩, হাসপাতালে ৫০ জন মূল সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে কমিশন ‘ওসি হয়েও আমার কমদামি ফোন, আপনি দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই হবেই’ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: ‘আমি ভালো আছি’ বলেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলো মাহতাব
  • গুজরাটে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০০

    গুজরাটে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০০
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে সংঘটিত এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দেশ গুজরাট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

    বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যাদের মধ্যে ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিমানটি আছড়ে পড়ে বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে, যেখানে অতিরিক্ত ৫০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।

    গুজরাটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী বার্তাসংস্থা রয়টার্স-কে বলেন, “এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৯৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।”

    তবে এ ভয়াবহ ঘটনার মাঝেও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন একজন যাত্রী। বিধি চৌধুরী জানান, "তিনি বিমানের জরুরি বহির্গমন দরজার পাশের ১১-ই আসনে বসা ছিলেন, যা হয়তো তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।"

    আহমেদাবাদ পুলিশের প্রধান জি এস মালিক জানান, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমানযাত্রী এবং ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষার্থীদের মরদেহ।

    নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিও।

    এদিকে, ভারতের স্বাস্থ্য সচিব ধনঞ্জয় দ্বিবেদী নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন, যাতে মরদেহ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।

    দুর্ঘটনার পর বিমানটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। লেজের অংশটি এখনো ছাত্রাবাসের একটি ভবনের ছাদে আটকে আছে। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার—বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ও নিরাপদ মডেল। এর আগে এই মডেলের কোনো বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার নজির নেই।


    এন কে/বিএইচ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ