স্বর্ণ কিনতে দুবাই কেনো পছন্দের


দুবাই-নামেই যেন এক চুম্বকীয় আকর্ষণ। ঝলমলে স্কাইলাইন, বিশ্ববিখ্যাত শপিং মল, আরবীয় আতিথেয়তা-সব মিলিয়ে এ শহর বহুদিন ধরেই পর্যটকদের জন্য এক স্বপ্নের গন্তব্য। তবে এই আধুনিকতার ভিড়ে এক ঐতিহ্য আজও নিজের দীপ্তি হারায়নি। সেটি হলো স্বর্ণ।
দুবাইয়ের স্বর্ণের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কেবল দাম কিংবা গয়নার নকশার কারণে নয়। এর পেছনে আছে ইতিহাস, আস্থা এবং এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আর সেই অভিজ্ঞতা গড়ে উঠেছে সময়ের পরিক্রমায়-সাদামাটা এক সুক থেকে শুরু করে বিলাসবহুল শোরুম পর্যন্ত এক দীর্ঘ যাত্রা।
স্বর্ণ কেনা কি শুধুই আর্থিক বিনিয়োগ? নাকি এর মাঝে লুকিয়ে আছে আবেগ, ভালোবাসা, উত্তরাধিকার? দুবাইয়ে স্বর্ণ কেনা এসব কিছুর সম্মিলন। প্রতিটি দোকান, প্রতিটি ডিজাইন যেন একেকটি গল্প বলে-যেখানে ক্রেতা হয়ে ওঠেন সেই কাহিনির অংশ।
আর সেই গল্পের শুরু হয়েছিল শহরের পুরনো হৃদয়ে-‘দেইরা গোল্ড সুকে’। খাঁটি স্বর্ণের ঝলকানি আর হাঁকডাক দেওয়া বিক্রেতার মাঝে সেই বাজার এখনও বেঁচে আছে প্রাণে প্রাণে। কিন্তু কবে এবং কীভাবে এই শহর পেল ‘সিটি অফ গোল্ডের’ গর্বিত উপাধি?
যদিও বহু আগে থেকেই দুবাই ছিল স্বর্ণ ব্যবসার কেন্দ্র, তবে ইতিহাসের মোড় ঘুরে যায় ১৯৯৬ সালে, ‘দুবাই শপিং ফেস্টিভ্যাল’ (ডিএসএফ) চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে। এই উৎসব কেবল এক মৌসুমি ছাড়ের অনুষ্ঠান নয়, বরং দুবাইকে বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরার এক কার্যকর কৌশল।
প্রতিদিনের র্যাফেল ড্রতে যখন মানুষ কেজি কেজি স্বর্ণ জিতে নিত, তখন স্বর্ণের প্রতি ভালোবাসা পেত নতুন মাত্রা। এখান থেকেই জন্ম নেয় এক নাম-‘সিটি অফ গোল্ড’। এটি শুধু প্রচারণার কৌশল নয়, বরং ক্রেতা-ভরসার এক প্রতীক।
দৈএনকে/জে,আ
