রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি, বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়

অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি, বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার বিরোধিতা করে আবারও বিক্ষোভে নেমেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। রোববার (২৫ মে) সকালেও সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংগঠনটির সদস্যরা। এর আগেও শনিবার তারা একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

সকালে সচিবালয়ে দেখা যায়, অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা 'অবৈধ আইন মানি না', 'কালো অধ্যাদেশ বাতিল করো'—এই ধরনের স্লোগান দিতে দিতে সচিবালয়ের বিভিন্ন প্রাঙ্গণ ঘুরে মিছিল করেন।

আন্দোলনকারীরা দ্রুত বিতর্কিত খসড়া অধ্যাদেশটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এবং দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও জোরালো করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশের খসড়াটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।

তাই অধ্যাদেশের খসড়াটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যা দিয়ে তা পুনর্বিবেচনারও দাবি করছেন তারা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়ারা জানান, কালাকানুন যুক্ত করে প্রণীত অধ্যাদেশ কেউ মানবে না। ১৯৭৯ সালের সরকারি চাকরির বিশেষ বিধান ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করেছেন। এই বাতিল বিধান পুনরুজ্জীবিত করার মানে নতুনভাবে বিতর্ক তৈরি করা। বর্তমান সরকার সেই কাজটিই করেছে।

তারা জানান, এর ফলে কর্মচারীদের অধিকার খর্ব হবে, তারা কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়বে। কাজেই এই অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে। অন্যথায় যেকোনো মূল্যে এটা প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের সব রুমে তালা দেবেন বলে ঘোষণা করেন।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন