শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে তিন দলের ‘ওয়াকআউট’


মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের পর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউট করেছে সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদ।
বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টার পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সংলাপের ১৮তম দিনের বৈঠকে এই প্রতীকী প্রতিবাদ জানায় দলগুলো।
শুরুতে সঞ্চালক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দার কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজকে কথা বলার অনুরোধ করেন।
এ সময় অনুমতি নিয়ে বক্তব্য দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘‘অতীতে আমরা দেখতাম, স্বৈরাচার শাসকেরা এ ধরনের ঘটনা ঘটলে যে ধরনের ঘটনাগুলো ঘটত, তারই ছায়া দেখলাম। স্বৈরাচারে যারা ছিল, তারা এখানে নানান সংকট, ষড়যন্ত্র করবে, সেটা সরকারের জানার কথা। একজন উপদেষ্টাকে দেখা গেল, তিনি বলছেন, গতকালের ঘটনা স্বৈরাচারেরা করেছে, এটাকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আগে স্বৈরাচার হাসিনা যখন বিপদে পড়তেন, এ ধরনের কথা বলতেন। তার পাশে ১৪ দল বা অন্যরা বসে থাকত। তারা বলত, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এখন সে রকমই দেখা গেল।’’
ঐকমত্যের আলোচনা জরুরি হলেও প্রতিবাদ করাটা দরকার বলে উল্লেখ করেন রুহিন হোসেন বলেন, ‘‘এ ঘটনার প্রতিবাদ করা ছাড়া এখানে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য ১০ মিনিটের জন্য থাকতে চাই না।’’
রুহিন হোসেনকে সমর্থন জানান বাংলাদেশ জাসদের মুশতাক হোসেন ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। এই তিন দলের নেতারা সংলাপ থেকে ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউট করেন।
ওয়াকআউটের পর কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘তিনটি দল প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে যা করেছে, সেটা তারা করতে পারে।”
আজকের আলোচনায় অংশ নিচ্ছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
