বিএনপির লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত বাংলাদেশ

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির মূলনীতি সব সময়ই স্পষ্ট—“সবার আগে বাংলাদেশ।” তিনি বলেন, “আমরা দলীয় স্বার্থের চেয়ে জাতির স্বার্থকে বড় করে দেখি। দেশের মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাই বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এই দেশকে সঠিক নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে চাই। বিএনপি সেই দিকেই কাজ করছে—একটি সুশাসিত, উন্নত ও নাগরিকবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের জন্য।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বিগত শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা চাই জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে।”
সাক্ষাৎকারে তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতিও আহ্বান জানান, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তরুণদের হাতে। তারা যেন দেশের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে—এইটাই আজকের সময়ের দাবি।”
তারেক রহমানের মতে, “বিএনপি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি জাতীয় আন্দোলন—যার লক্ষ্য, ন্যায়, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান।”
বিবিসি বাংলার প্রশ্ন ছিল, কূটনীতির প্রসঙ্গে আসি, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তবে কূটনীতির ক্ষেত্রে বিএনপির মূলনীতি কী হবে?
তারেক রহমান বলেন, গুড কোশ্চেন। বিএনপির মূলনীতি একটাই- সবার আগে বাংলাদেশ। কূটনীতির ক্ষেত্রে বিএনপির নীতি সবার আগে বাংলাদেশ। আমার জনগণ, আমার দেশ, আমার সার্বভৌমত্ব। এটিকে অক্ষুন্ন রেখে, এটি স্বার্থ বিবেচনা করে, এই স্বার্থকে অটুট রেখে বাকি সবকিছু।
বিবিসি বাংলার আরও প্রশ্ন ছিল, এটাকে বৈশ্বিক রাজনীতির একটা প্রভাব বলা যায়? কারণ আপনি যদি বিভিন্ন দেশে দেখেন, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও আমেরিকা ফার্স্ট একটা স্লোগান দিয়ে এসেছিলেন?
তারেক রহমান বলেন, না, ওদেরটা ওরা বলেছে, আমি ভাই বাংলাদেশি। আমার কাছে বাংলাদেশের স্বার্থ বড়, আমার কাছে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ বড়। কাজেই কে কি বললো... সবার আগে বাংলাদেশ, সিম্পল, কমপ্লিকেট (জটিল) করার কিছু নেই, এটা সিম্পল ব্যাপার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। প্রায় দুই দশক পর প্রথম কোনো গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসি বাংলার মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোল। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সাক্ষাৎকার দেন। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা।