দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু সংক্রমণ আরও প্রাণঘাতী

বাংলাদেশে এখন ডেঙ্গু বছরজুড়েই দেখা যায়—এটি আর কেবল মৌসুমি রোগ নয়। অনেকের ধারণা, একবার ডেঙ্গু হলে দ্বিতীয়বার আর হয় না। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু একাধিকবার হতে পারে এবং দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে তা আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে।
ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন আছে— ডিইএন-১, ডিইএন-২, ডিইএন-৩ ও ডিইএন-৪। কেউ যদি একবার কোনো একটি ধরনে আক্রান্ত হন, তাহলে তার শরীরে সেই ধরনটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। তবে পরবর্তীতে অন্য কোনো ধরনে সংক্রমিত হলে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে, যা অনেক সময় “সেকেন্ডারি ইনফেকশন” হিসেবে বিপজ্জনক রূপ নেয়। এতে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দিতে পারে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে শরীরের রক্তনালী দুর্বল হয়ে পড়ে, রক্তপাত বা প্লাটিলেট কমে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য যারা আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের পরবর্তী বছরগুলোতে আরও সতর্ক থাকতে হবে।
এই ঝুঁকি এড়াতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো মশার বিস্তার রোধ করা। ঘরের আশপাশে পানি জমতে না দেওয়া, ফুলদানি ও পানির টব সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করা, জানালায় জালি ব্যবহার করা ও ঘুমানোর সময় মশারি টানানো—এসব সাধারণ অভ্যাসই ডেঙ্গু প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের চেয়ে চিকিৎসা অনেক কঠিন। তাই যাদের একবার ডেঙ্গু হয়েছে, তাদের নিয়মিত সতর্ক থাকতে হবে, এবং জ্বর হলে নিজে ওষুধ না খেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।