সন্দ্বীপে প্রধান শিক্ষক নেই ৯৪ বিদ্যালয়ে


৯৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া ৭১ টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
এতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৫০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ও আছে ১৫০টি। অনুমোদিত পদের মধ্যে বর্তমানে পূর্ণ প্রধান শিক্ষক ৪৬ জন ।
বাকি ৯৪টি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বা চলতি দায়িত্ব প্রধান দিয়েই কার্যক্রম চলছে। উপজেলার ১৫০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে অন্তত ২১ হাজার ৩৯২ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। ওই সব শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলে কর্মরত ৯৯১ জন। সন্দ্বীপ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো কে মোট ৭ টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। তা হলো আমিরাবাদ, গাছুয়া একে,সেন্টাল বাউরিয়া, মুছাপুর জুনিয়র অসংলগ্ন, সাতঘড়িয়া ও আলিমিয়া বাজার।
সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৯১২টি। ওই পদে শূন্য আছেন ৭১ জন শিক্ষক। এ ছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ৭টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (এইউইও) পদ রয়েছে। এর মধ্যে কর্মরত ২ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ওই পাঁচটি পদ পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে শূন্য রয়েছে।
উপজেলার কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে একসঙ্গে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দ্বৈত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে অনেককে বেশ বেগ পোহাতে হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এতে আমাদের সন্তানরা বিদ্যালয়ে ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, সন্দ্বীপ উপজেলায় ৯৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং ৭১ টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শূন্যপদগুলো খুব দ্রুতই পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। অনলাইনে বদলিপ্রক্রিয়া চলছে। তাই শূন্যপদগুলো খুব দ্রুত পূরণ হবে বলে আশা করছি
