দৈনিক নতুন কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর দুই অফিস সহায়ক বদলী


বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাড়িয়াল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক হেলাল উদ্দিন ও মোঃ রিয়াজ এর ঘুস গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাদের দুজনকে বদলী করা হয়েছে। এর মধ্যে হেলাল উদ্দিনকে এসিল্যান্ড অফিসে এবং রিয়াজকে দুধল ইউনিয়ন ভুমি অফিসে বদলী করা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দাড়িয়াল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক ও পিয়ন রিয়াজ সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে টাকার বিনিময় সেবা দিচ্ছেন টাকা না দিলে সেবাও মেলেনা বলে অভিযোগ উঠেছে অফিসের চতুর্থ শ্রেণী দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
উত্তর কাজলাকাঠি গ্রামের সেবাগ্রহীতা আনসার আলী হাওলাদার বলেন, আমি আগে দুইটি দলিল রেকর্ড করে নিয়েছি সেখানে আমার কাছে হেলাল উদ্দিন ৯০০০ টাকা চেয়েছে রিয়াজের মাধ্যমে ৬ হাজার টাকায় রেকর্ড করেছি। এখন আরও একটি দলিল রেকর্ড করতে নিয়ে এসেছি আমি হেলাল উদ্দিনেরে দিয়া রেকর্ড করাব না টাকা বেশি চায় তার সাথে একটি লোক আছে তার কাছ থেকে রেকর্ড করাবো সে টাকা কম নেয়।
ঘুষের লেনদেনের বিষয়টি জানতে চাইলে অফিস সহায়ক হেলাল উদ্দিন ও রিয়াজ কিছুটা বিচলিত হয়ে বলেন, অফিসে তহশিলদার সাহেব নেই সহকারি তহশিলদার তাসলিমা আপা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছে আমরা মোটামুটি কাজ করে থাকি।
আরও জানা গেছে,গতকাল রাজিব নামে একটি হিন্দু লোককে দলিল রেকর্ড করতে এসেছিল তার কাছে পাঁচটি দলিলে ৮ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা যাওয়ায় রেকর না করে সে ফেরত চলে যায়। খাজনার দাখিলের জন্য (ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ) সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলেও রসিদ দেওয়া হয় সরকারি হিসাবে। এসবের মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এ ভূমি অফিস সহায়ক হেলাল উদ্দিন ও রিয়াজ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মোঃ রিয়াজ কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করে দিলেও অফিসের অসাধুচক্রের মাধ্যমে টাকা পয়সা দিয়ে ঘুরে ফিরে একই জাগায় বহাল থাকে হেলালের কাছে অসম্ভব বলতে কিছুই নেই সব কিছুই সম্ভব বলে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। নাম খারিজের বেলায় সরকারি নির্ধারিত ফি ১ হাজার ১৫০ টাকা হলেও অতিরিক্ত হিসাবে আট থেকে ১০ হাজার টাকা এমনকি ব্যক্তিভেদে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন ওই ভূমি অফিসে নাম মাত্র ভূমি সহকারী কর্মকর্তা থাকেন অফিস সহায়ক রিয়াজ। দাবিকৃত ঘুষের অর্থ দিতে অস্বীকার করলে নানা তালবাহানা করে জমির মালিকদের হয়রানি করেন তিনি।
এ বিষয়ে অফিস সহায়ক রিয়াজ দৈনিক নতুন কাগজকে বলেন, মাত্র চারশো টাকার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। অথচ আমাদেরকে বদলি করা হলো।
