কর্মচারী থেকে ঠিকাদার, নামে-বেনামে কোম্পানী খুলে সীমাহীন দূর্নীতি


কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পেন্টাওশান কোম্পানিতে কর্মরত কোয়ান্টিটি অফিসার আনিছ, অফিস সহকারী আল আমিন,হাসানসহ ওরা তিন জন সিন্ডিকেট করে মিলেমিশে চাকুরির পাশাপাশি অঘোষিত ভাবে নিজেদের লোক দিয়ে গড়ে তুলেছেন ব্যবসাসহ একটি কমিশন বাণিজ্যের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের কারণে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পে ব্যবসার কাজ পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও স্থানীয় সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্টান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফলে দিন দিন তাদের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ উঠলেও অদৃশ্য শক্তির বলয়ে বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে সমহিমায়। এতে বেপরোয়া হয়ে নামে-বেনামে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান খুলে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসার পাশাপাশি কমিশন বাণিজ্য। এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ৩০ জুন সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন খোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পেন্টাওশানের কর্মরত আনিছ মুলত চাকুরীর আড়ালে নিজের লোকজনের নামে সততা এন্টারপ্রাইজসহ নামে-বেনামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলে বহু কাজ ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসা করে অনন্ত পক্ষে কয়েক কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। তারাই এমনটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগ উঠেছে আনিছের নেতৃত্বে গড়া সিন্ডিকেটের বিভিন্ন মালামাল সাপ্লাই দেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাদের নিকটতম লোকজন। এছাড়াও পেন্টাওশানের কর্মরত আনিছ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিজেদের ব্যবসা আড়াল করতে পাশ্ববর্তী বদরখালী বাসিন্দা তাদের কোয়ার্টার গার্ড ইলিয়াছের মাধ্যমে বিভিন্ন কাঁচামাল থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য সাপ্লাই দিচ্ছে নিম্নমানের। এছাড়া নিজের লোকের নামে বিভিন্ন সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলে অবকাঠামো নির্মানের কাজ ভাগিয়ে নিয়েছে। এভাবে অনন্তপক্ষে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আনিছের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটটি। তার এসব দুর্নীতি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবী জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে অভিযুক্ত পেন্টাওশানের কর্মরত কোয়ান্টিটি অফিসার আনিছের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি এ কর্মকর্তা।
