মহাসড়ক নির্মাণে দেরি, ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে জনদুর্ভোগে বিক্ষোভ


ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত, ছয়লেন সড়ক দ্রুততম সময়ে শুরু করা, অসমাপ্ত নেহালগঞ্জ , ও গোমা সেতু দ্রুততম সময়ে শেষ করার দাবিতে, জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও সড়ক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা । পরে জেলা প্রশাসক, বরিশাল ও সড়ক জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে তারা স্মারকলিপি প্রদান করে। বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে এই বিক্ষোভ
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা বরিশাল সড়কের ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত, ১৯৫ কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত, মহাসড়ক না হওয়ায়, দুর্ভোগ লেগেই আছে। বাড়ছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে এইরুটে, পাঁচ গুণ যান চলাচল বৃদ্ধি পেলেও, সরু সড়কটির প্রশস্ততা বৃদ্ধি পায়নি। অপ্রশস্ত সড়কে বিপুল সংখ্যক যান চলাচল করায়, এই রুটে সড়কে ধীর গতিতে, যানবাহন চলছে বাধ্য হচ্ছে -দেখা দিচ্ছে বিপুল যানজট। এর ফলে পদ্মা সেতু নির্মাণের পরেও, দক্ষিণাঞ্চল বাসী কোন সুফল পাচ্ছে না। তাই অবিলম্বে, ভাঙ্গা বরিশাল কুয়াকাটা প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়ন না গেলে, এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ,সার্বিক উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে।
একই সাথে বরিশাল বাউফল সড়কের নেহালগঞ্জ সেতু, ও বাকেরগঞ্জের রাঙামাটি নদীর উপর গোমা সেতু দ্রুততম সময়ে নির্মাণ না হলে বরিশাল সদর উপজেলা ও বাকেরগঞ্জের সাথে বাউফল,পটুয়াখালী জেলার যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে পদ্মা সেতু নির্মিত হলেও বরিশালের সাথে, বিভিন্ন উপজেলা ও জেলার আঞ্চলিক যোগাযোগের কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি।
বক্তারা দ্রুততম সময়, ঢাকা বরিশাল সড়কের, ভাঙ্গা বরিশাল -কুয়াকাটা অংশের, ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া না হলে, আগামীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন ।
বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও সার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম রাজন বলেন, দীর্ঘদিন দক্ষিণাঞ্চল, উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল, পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হলেও, এই অঞ্চলের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত সড়কটি এখন পর্যন্ত সরু সড়ক রয়ে যাওয়ায়,একের পর এক বাড়ছে দুর্ঘটনা। আমরা অবিলম্বে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাই। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়কটি ছয়লের নির্মাণ করে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ কালে জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা ইতোপূর্বে আলোচনা হয়েছে -আমরা দাবিনামা দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেব যাতে করে, তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া যায়। অপর স্মারক লিপি গ্রহণ করেন বরিশাল সড়ক জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গোমা সেতু, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। অপর নেহালগঞ্জ সেতুটি যাতে, দ্রুততম সময় শেষ করা যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচেতন রয়েছে।
এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আমিনুর রহমান খোকন, রাজনীতিবিদ নজরুল হক নিলু,চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক হাওলাদার,কামরুন নাহার বেগম, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ প্রমূখ।
