শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

ইউরিন ইনফেকশন নিয়ে যা জানা জরুরি

ইউরিন ইনফেকশন নিয়ে যা জানা জরুরি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

অনেকেরই প্রস্রাবে সংক্রমণের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে হয়। যখন এই সংক্রমণ মূত্রনালির নিম্নাংশে ঘটে, তখন তাকে মূত্রথলির সংক্রমণ বলা হয়। আর যদি এটি মূত্রনালির ঊর্ধ্বাংশে ছড়িয়ে যায়, তখন তা কিডনির সংক্রমণে রূপ নিতে পারে।

শরীরের বর্জ্য পদার্থ কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রনালি দিয়ে মূত্র হিসেবে বের হয়ে যায়। মানুষের শরীরের দুটি কিডনি, দুটি ইউরেটার, একটি ইউরিনারি ব্লাডার (মূত্রথলি) এবং ইউরেথ্রা (মূত্রনালি) নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত। এই রেচনন্ত্রের যেকোনো অংশে যদি জীবাণুর সংক্রমণ হয়, তাহলে সেটাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বলা হয়। কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রথলি বা একাধিক অংশে একসঙ্গে এই ধরনের ইনফেকশন হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট চিকিৎসক ডা. প্রদীপ্ত চৌধুরী বলেন, ‘নারী-পুরুষ উভয়ের প্রস্রাবের সংক্রমণ খুবই বিব্রতকর একটি রোগ। ইউরিনে ইনফেকশন বা প্রস্রাবে সংক্রমণের কিছু সাধারণ রোগলক্ষণ আছে, যা দিয়ে সহজেই বোঝা যায় আপনি এই রোগে আক্রান্ত। যেমন: প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা, ঘনঘন প্রস্রাব, তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাব শেষ হওয়ার পরেও কিছু প্রস্রাব অবশিষ্ট থাকা। লালচে-হলুদাভ বা ঘোলাটে রঙের প্রস্রাব, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া। যেসব কারণে প্রস্রাবের সংক্রমণ হয়ে থাকে, সেগুলো হলো:

যেভাবে পারকিনসন্স রোগ প্রতিরোধ করবেনযেভাবে পারকিনসন্স রোগ প্রতিরোধ করবেন

১. দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা।

২. দীর্ঘ সময় পানি পান না করা।

৩. ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে না থাকা।

৪. বয়স্ক নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া।

৫. গর্ভাবস্থায় মাসিক বন্ধ থাকায় ইউরিন ইনফেকশন ঝুঁকি থাকে।

৬. দীর্ঘদিন প্রস্রাবের রাস্তায় নল পরিয়ে রাখা।

৭. বৃদ্ধ বয়সে পুরুষের প্রস্রাবের নালির পাশে প্রস্টেট বড় হয়ে প্রস্রাবের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে। এতে প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

জন্মগত হৃদরোগের কারণ কী? প্রতিকারের উপায় কী হতে পারেজন্মগত হৃদরোগের কারণ কী? প্রতিকারের উপায় কী হতে পারে
চিকিৎসক ডা. প্রদীপ্ত চৌধুরীর মতে, প্রতিকারের থেকে প্রতিরোধই উত্তম। অনেক ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না করালে সংক্রমণ কিডনিতে পৌঁছে গিয়ে, কিডনির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন, যাতে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনা যায়। যেমন:

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।

২. প্রস্রাবের সময়ে মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি করার চেষ্টা করা।

৩. প্রস্রাবের বেগ এলে বেশিক্ষণ ধরে না রাখা।

৪. প্রস্রাব করার সময়ে তাড়াহুড়া না করা।

৫. গোপনাঙ্গ শুকনো ও পরিষ্কার রাখা।

৬. ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

৭. সুগন্ধি সাবান, কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী অথবা ট্যালকম পাউডার গোপনাঙ্গে ব্যবহার না করা।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ