গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রায় প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস: আলী রীয়াজ


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসকের বিদায়ে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। তবে এই অর্জনকে টেকসই করতে হলে প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
সোমবার (১২ মে) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক কাঠামো এখনও পূর্ণরূপে গড়ে ওঠেনি, তাই জনগণ এসব প্রক্রিয়ায় সক্রিয় থেকেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “গণতন্ত্র শুধু একটি নির্বাচনব্যবস্থার নাম নয়; এটি একটি সমাজব্যবস্থা, যা ন্যায়বিচার, সহনশীলতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।”
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য যেমন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা, তেমনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক শক্তিগুলোসহ নাগরিক সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখা। এই ঐক্যকে সুদৃঢ় করে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণে রয়েছি। স্বাধীনতার পর এমন সুযোগ আর কখনো আসেনি৷ তাই অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন- বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল এমএল এর সভাপতি কমরেড হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি কমরেড আলি হোসেন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান এবং সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডাক্তার সামছুল আলমসহ ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
