ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক: একদিনে আরও ৪ জনের প্রাণহানি

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ১,১০১ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কয়েক হাজার রোগী। বিশেষ করে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লাখ ছাড়িয়েছে, আর মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের পরামর্শ দিচ্ছেন, জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখা, মশারি ব্যবহার করা এবং জ্বর দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১১০১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২০৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৪১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৯ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৫ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ৪৫ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রংপুর বিভাগে ১৯ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) এবং সিলেট বিভাগে তিনজন (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ১০৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭০ হাজার ৫২৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৭৩ হাজার ৯২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৯২ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।