সাদা অংশ না কুসুম: পুষ্টি দিক থেকে তুলনা

আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার ডিম অন্যতম সহজলভ্য ও পুষ্টিকর খাবার। এটি প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডিম একটি আদর্শ খাবার যা একসাথে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সরবরাহ করে।
তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, ডিম কুসুমসহ খাবেন নাকি শুধু সাদা অংশ? চিকিৎসকদের মতে, এটি নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও পুষ্টি চাহিদার ওপর।
একটি ডিমে সাধারণত দুই-তৃতীয়াংশ সাদা অংশ ও এক-তৃতীয়াংশ কুসুম থাকে। সাদা অংশে থাকে উচ্চ মানের প্রোটিন, আর কুসুমে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, কোলেস্টেরল, ও বিভিন্ন ভিটামিন-মিনারেল যেমন,ভিটামিন এ, ডি, ই, কে, ফলেট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, লুটেইন ও জিয়াজেন্থিন।
ডিমের কুসুম নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকে মনে করেন, কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। বাস্তবে, ডিমের কুসুমে থাকা কোলেস্টেরল শরীরের “ভালো কোলেস্টেরল” (HDL), যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও পুষ্টি উপাদান শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডিমের সাদা অংশের উপকারিতা
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: এতে ক্যালরি কম থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- কোলেস্টেরলমুক্ত: যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল সমস্যা রয়েছে, তারা নির্ভয়ে সাদা অংশ খেতে পারেন।
- উচ্চ প্রোটিন: শরীরের পেশি গঠনে সহায়ক।
ডিমের কুসুমের উপকারিতা
- উচ্চ ক্যালরি ও পুষ্টি: এতে ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শরীরের সামগ্রিক পুষ্টি নিশ্চিত করে।
- হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো: এতে থাকা পলি ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
- চোখের জন্য উপকারী: লুটেইন ও জিয়াজেন্থিন চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন
সুস্থ মানুষ প্রতিদিন একটি পুরো ডিম (সাদা ও কুসুমসহ) খেতে পারেন। তবে যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিমের কুসুমের পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত।
সবশেষে বলা যায়, ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম দুটিই শরীরের জন্য উপকারী। শুধু জানা দরকার, কোন অংশ কতটা এবং কীভাবে খেলে শরীরের জন্য তা সবচেয়ে ভালো হয়।
চাইলে আমি এটিকে অনলাইন নিউজ পোর্টালের উপযোগীভাবে শিরোনাম, ইনট্রো ও সাবহেডিংসহ প্রকাশযোগ্য ফরম্যাটে সাজিয়ে দিতে পারি। করতে চাইলে বলবেন?
দৈএনকে/জে .আ