শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১,০৩৪ রোগী মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানিতে ৫২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: দুদকের ৬ মামলা রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবে সরকার ইসলামী দলগুলোর সতর্কবার্তা: কালকের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে ঢাকায় আন্দোলন ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির সংখ্যা ও তারিখ প্রকাশ বিনিয়োগকারীদের চাপ: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গভর্নরকে পদত্যাগ করতে হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০,২১৯ পদে নিয়োগের প্রস্তুতি সম্পন্ন চূড়ান্ত খসড়ায় গুম করার অপরাধে কঠোর শাস্তি, সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড মায়ামিতে মেসি পেল শহরের চাবি, “অবসরের আগে ফুটবল উপভোগই প্রধান” ইন্টারনেটে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য বড় শাস্তি : কারাদণ্ড ও কোটি টাকার জরিমানা
  • বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

    বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা আজ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ সোমবার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণ করার জন্য এই প্রবারণা আয়োজন করা হয়। মহামতি গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে অশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস প্রবারণা ব্রত পালন করতেন। সেই প্রথা অনুযায়ী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বর্ষাবাস শেষ হওয়ার পর এই দিনটি পালন করে থাকেন।

    এটি আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।

    জানা গেছে, আজ রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে শেষ হবে। প্রতিবছর আষাঢ় মাসে প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস ধরে দেশের প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে শুভ কঠিন চীবর দান উৎসব হয়ে থাকে।

    কঠিন চীবর দান উৎসব বৌদ্ধদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর শুভ প্রবারণার মধ্য দিয়ে বিহারে বিহারে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়, যা চলে মাসজুড়ে।

    প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ, মঙ্গলসূত্র পাঠ, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টাঙ্গ উপসথ শীলগ্রহণ, মহাসংসদান, অতিথি আপ্যায়ন, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনাসভা, প্রদীপ পূজা, আলোকসজ্জা, বিশ্বশান্তি কামনায় সম্মিলিত বুদ্ধোপাসনা, ফানুস উড্ডয়ন ও বুদ্ধকীর্তন।

    বৌদ্ধদের মতে, এই পূর্ণিমা তিথিতে মহামতি গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। মানবজাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন। একই দিন তার তিন মাসের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি ঘটে। পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তিথি। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান।

    বৌদ্ধ ধর্মীয় লেখক সুদর্শন বড়ুয়া বলেন, আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাব্রত শেষে প্রবারণা উৎসবের আয়োজন করা হয় বৌদ্ধ পল্লীতে। প্রবারণা অর্থ আত্মসমর্পণ ও আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠান। এটি ভিক্ষু সংঘের বিনয়-কর্মের নাম। বুদ্ধের সময়কালে শত শত ভিক্ষু সংঘ একই স্থানে অবস্থান করে ধর্ম ও বিনয় শিক্ষা করতেন। এ উপলক্ষে বৌদ্ধ বিহারগুলোয় ফানুস উত্তোলন করা হয়।


    রে, আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন