শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১,০৩৪ রোগী মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানিতে ৫২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: দুদকের ৬ মামলা রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবে সরকার ইসলামী দলগুলোর সতর্কবার্তা: কালকের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে ঢাকায় আন্দোলন ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির সংখ্যা ও তারিখ প্রকাশ বিনিয়োগকারীদের চাপ: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গভর্নরকে পদত্যাগ করতে হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০,২১৯ পদে নিয়োগের প্রস্তুতি সম্পন্ন চূড়ান্ত খসড়ায় গুম করার অপরাধে কঠোর শাস্তি, সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড মায়ামিতে মেসি পেল শহরের চাবি, “অবসরের আগে ফুটবল উপভোগই প্রধান” ইন্টারনেটে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য বড় শাস্তি : কারাদণ্ড ও কোটি টাকার জরিমানা
  • হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কুরআন মুখস্ত করলেন রিম

    হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কুরআন মুখস্ত করলেন রিম
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    রিম আবু উদ্দাহ; ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের মধ্যে বিরল সাহস ও ঈমানি দৃঢ়তার এক অনন্য নজির স্থাপন করা এক ফিলিস্তিনি কিশোরী। ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক বোমাবর্ষণে গুরুতর আহত হয়েও হাসপাতালের বিছানায় থাকা অবস্থাতেই পুরো কুরআন হিফজ (মুখস্ত) করেছে সে। তীব্র শারীরিক যন্ত্রণা সত্ত্বেও অবিচল অধ্যবসায় পবিত্র কুরআনের পথে জয়ী করেছে তাকে।

    শনিবার (৪ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অসাধারণ এ গল্প। 

    হাসপাতালে শয্যাশায়ী রিম আল জাজিরাকে জানান, পবিত্র কোরআন মুখস্থ করার পথটি একইসঙ্গে সুন্দর ও কঠিন ছিল তার জন্য।

    রিম জানান, গত বছর ২৪ আগস্ট ছিল তার মায়ের মৃত্যুদিবস। সেই দিনেই হিফজ সম্পন্ন করতে চেয়েছিল সে; কিন্তু তার দুই দিন আগেই, অর্থাৎ ২২ আগস্টের বিমান হামলায় গুরুতর আহত হয় সে। ইসরায়েলি বাহিনীর বোমার আঘাতে তার শরীরের একাধিক স্থানে শেলবিদ্ধ হয় এবং পেট জখম হয়।
     
    তিনি আরও বলেন, আমি সেই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলাম, যাকে দখলদাররা নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আমাদের পাশের তাঁবুতেই হামলা চালানো হয়। আল্লাহর অনুগ্রহে, প্রায় এক মাস চিকিৎসার সময় হাসপাতালেই আমি কুরআন মুখস্থ সম্পন্ন করি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি কুরআন মুখস্থ করেছি।

    রিমের বোন সাফা আবু উদ্দাহ জানান, রিম হাসপাতালে শয্যায় শুয়ে থেকেই কুরআন হিফজ শেষ করে। সে কুরআন তেলাওয়াত করতো, আর চিকিৎসকেরা তার অবিশ্বাস্য ধৈর্য ও মানসিক শক্তি দেখে রীতিমতো বিস্মিত হতেন।

    রিম তার বোন সাফাকে নিজের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ও জীবনের অবলম্বন বলে উল্লেখ করেছেন। রিমের ভাষায়, এই ভয়াবহ যুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে কোরআনই ছিল আমার ধৈর্য ও স্থিতিশীলতার প্রধান উৎস। কোরআন হিফজে এই অসাধারণ ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের স্বীকৃতিস্বরূপ গাজা শহরের হাবিব মুহাম্মদ সেন্টার-এর পক্ষ থেকে রিম আবু উদ্দাহকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। রিমের এই অর্জন গাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও ঈমান, দৃঢ়তা আর শিক্ষার প্রতি ভালোবাসার এক জ্বলন্ত প্রতীক হিসেবে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।


    রে, আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন