অষ্টমীর বিশেষ দিনে কেমন হবে সাজ?

শারদীয় দুর্গোৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর একটি হলো মহাঅষ্টমী। এদিন পূজার আচার থেকে শুরু করে আনন্দঘন আড্ডা—সবকিছুতেই থাকে আলাদা মাত্রা। তাই সাজগোজেও থাকতে হবে বিশেষ ছোঁয়া।
ঐতিহ্যের ছোঁয়া
অষ্টমীর সাজ মানেই লাল-সাদা শাড়ি যেন এক চিরন্তন ঐতিহ্য। সাদা তাঁতের শাড়ির আঁচলে লালের কাজ অথবা সিল্ক শাড়ির লাল পাড়—যেকোনোটি হতে পারে সেরা পছন্দ। শাড়ির সঙ্গে মানানসই লাল টিপ আর সোনালি গয়না অষ্টমীর সাজকে করে তোলে আরও উজ্জ্বল।
আধুনিক রুচির সংযোজন
যারা আধুনিক ছোঁয়া চান, তারা ট্রেন্ডি কাতান, অর্গাঞ্জা বা হালকা জর্জেট শাড়ি বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ড্রেসও হতে পারে ভালো বিকল্প। কানের দুল, লম্বা নেকপিস বা চোকার—যেকোনো একটি স্টেটমেন্ট জুয়েলারি সাজে আনতে পারে ভিন্ন মাত্রা।
মেকআপের টাচ
অষ্টমীর দিনে সাজ যতটা উজ্জ্বল হবে, মেকআপ ততটা ন্যাচারাল রাখাই ভালো। হালকা বেস, একটু কাজল, মাসকারা আর লাল লিপস্টিকই যথেষ্ট। চাইলে চোখে সামান্য গ্লিটার আইশ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে।
চুলের সাজ
চুল খোলা রাখলেও ফুল দিয়ে সাজালে তা আরও আকর্ষণীয় দেখাবে। গাঁদা বা গোলাপের মালা চুলে জড়িয়ে নেওয়া যায়। আবার খোঁপায় তাজা ফুল ব্যবহার করাও অষ্টমীর ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্যের প্রতীক।
পুরুষদের সাজ
অষ্টমীতে পুরুষরাও পারেন ঐতিহ্য ধরে রাখতে। সাদা বা অফ-হোয়াইট পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল, মেরুন বা গাঢ় নীল চাদর হতে পারে মানানসই পোশাক। চাইলে জিনস বা ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গেও রাখা যায় বৈচিত্র্য।
অষ্টমীর সাজে মূল কথা হলো আনন্দ আর আত্মবিশ্বাস। যে পোশাক ও সাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, সেটিই আপনার কাছে সেরা হবে। কারণ উৎসবের আনন্দ সবচেয়ে উজ্জ্বল হয় আন্তরিক হাসি আর আত্মবিশ্বাসের আলোতেই।
দৈএনকে/জে .আ